Monday, April 30, 2018

ফরিদপুর-চার যুদ্ধ হবে আর একবার

ফরিদপুর-চার
যুদ্ধ হবে আর একবার
***********************
প্রচলিত আছে যে ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের দাতা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জাফর সাহেবের আসল বাড়ী কুমিল্লা। তিনি কিভাবে ফরিদপুরের নাগরিক ও ভোটার হলেন তা'ব্যাখ্যা নাই দিলাম। বলতে চাই বিগত সুদীর্ঘ একবার ৫ বছর এবং এবারে একটানা ৯ বছর ক্ষমতা থাকা সত্বেও কাজী জাফর উল্লাহ সাহেব ফরিদপুর-৪ আসনে এক ওড়া মাটিও কাটেন নি এবং এমন কোন নজির নেই যে তিনি গোটা আসনের কোথাও দুই টাকার উন্নয়ন করেছেন। এ কথা কারো মন গড়া গল্প নয়, এটা এলাকার সকল নৌকার ভোটারদের অভিযোগ। একটি বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে জাফর উল্লাহ সাহেব জনগণকে ক'দিন দিয়েছেন। হিসেব করলেই আসল পরিসংখ্যান বেড়িয়ে আসবে।
ফলে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ভক্ত অনুরাগী নৌকার ভোটার রা একজন জাফর উল্লাহ বিকল্প প্রার্থী সন্ধানে ছুটে বেড়ায় এবং প্রার্থনা করে; হঠাত কোথা থেকে উদয় হল নিক্সন চৌধূরী, গর্জে উঠলো ভাঙ্গা নগরকান্দার চির বঞ্চিত অবহেলিত মানুষগুলো। বিকল্প নেতা না পেয়ে বিকল্প মার্কাই বেছে নিতে হল সাধারণ ভোটারদের। স্বয়ং বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজে সফর করে, মানুষকে প্রতিশ্রুতি এবং উদাত্ত আহবান জানিয়েও মানুষের মন এই খন্দকার মোস্তাক আহমেদের জেলায় জন্ম নেয়া কুমিল্লার জাফর উল্লাহর দিকে আকৃষ্ট করতে পারেন নি। যা'ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত নির্বাচনের সব চেয়ে ভরাডুবি এবং লজ্জাজনক।
মানুষের রুচিবোধ চিন্তা চেতনা ইচ্ছে আকাংখা আশা ভরসার প্রতিফলন যার মাঝে দেখতে পায়;তাকেই নির্বাচিত করে। দুরন্ত দুর্বার বঙ্গবন্ধুর নাতনি নিক্সনের মাঝে মানুষ তার কিছুটা হলেও খুজে পেয়েছে। সাথে যোগ দিয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধীশক্তি জামাত বি এন পি। ফলে নৌকার কিছু ভোট এবং বি এন পি জামাতের ভোট নিক্সনের বাক্সে পরার ফলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ধনকুবের কিপটে জাফর উল্লাহ'র ভরাডুবি হয়।

বিষয় সেটি নয়; বিষয় হচ্ছে সব জেলায়/উপজেলার বঙ্গবন্ধু নৌকা পাগল মানুষগুলো কিছু না পেয়েই ভোট দেয় এ কথা সঠিক নয়" বলে প্রমান করেছিল ভাঙ্গা সদরপুরের মানুষ। তারা তাদের নিজস্ব এলাকার গরীব কৃষক শ্রমিক জেলে তাতী কামার কুমার ধনিক বনিকের পাশে উক্ত এলাকায় জন্ম নেয়া কোন একজনের প্রত্যাশায় ছিল। তারা পেয়ে গিয়েছে। নিক্সন চৌধূরী পদ্মা সেতু টেন্ডারবাজীতে কত শ্ত কোটি টাকা মেরেছে এবং সে টাকায় ফরিদপুর-৪ আসনের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। আমি এই "অর্থ লুন্ঠন এবং উন্নয়ন" দুটো শব্দকেই অভিনন্দন জানাই। টাকা চুরি করে যদি সে টাকা জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে ব্যয় করা হয়, তাহলে বলবো সকলেরই নিক্সন চৌধূরীর মত চোর হওয়া একান্ত অপরিহার্য ।
নিক্সনকে স্থানীয় মাস্তান দিয়ে হুমকি ধমকি দৌড়ানি পিটানি ভুয়া মামলা দিয়ে নেতা কর্মীদের হয়রানি ইত্যাদি করেও কাজী জাফর উল্লাহ সাহেব নিক্সন চৌধূরীর কিচ্ছু করত পারেন নি বরং নিক্সনের পিছনে টাকার জন্য নয়-উন্নয়ন এবং এই টগবগে যুবকের সাথে হাত মেলাতে মন প্রান খুলে নিজেদের সমস্যাদির কথা বলতে সারাক্ষন কাছে পায়; এটাই জনগণের সারা জীবনের চাহিদা ছিল-যেটা বয়োবৃদ্ধ ধনকুবের কিপটা অলস প্রেসিডিয়াম সদস্য জাফর উল্লাহ সাহেবের মধ্যে আদৌ তিল পরিমান পরিলক্ষিত হয়নি।
গত নির্বাচনে নিক্সন চৌধূরীর নিকট ভরাডুবির পর ইদানিং জাফর উল্লাহ সাহেব গ্রামে গ্রামে হাটে চেষ্টা করছেন, কিন্তু নিক্সন চৌধূরীর মত মন মানসিকতা ও দৈহিক স্ববলতার অভাবে নিক্সনের ১০ ভাগ অভিনয়েও তিনি ডাউব্বা মেরেছেন।
এখানে আওয়ামী লীগ বা নৌকার বিরোধীতার প্রশ্ন নয়; এখানে প্রশ্ন আমরা আর কত জাতিরজনকের নামে, মুক্তিযুদ্ধের নামে, স্বাধীনতার নামে নৌকা প্রতীকের নামে কাজী জাফর উল্লাহ সাহেবদের মত নবাবী মানদাতা আমলের পুরাতন কাসন্দ কাধে নিয়ে হাটবো?
শেখ হাসিনা তরুনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিশ্বাসী। আগামী প্রজন্ম মহান স্বাধীনতার ধারক ও বাহক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বিশেষ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির পারিবারিক বন্ধনকে আরো শক্তিশালী করে আওয়ামী লীগের লাল সবুজের ৪ তারকা খচিত পতাকা তুলে দিচ্ছেন। তাঁর বয়স হয়েছে। একদিন তিনিও চলে যাবেন-জাফর উল্লাহ সাহেবদেরকেও যেতে হবে-সেদিন কে ধরবে হাল, কে তুলবে পাল? সূতরাং দেশরত্ন শেখ হাসিনার আদর সোহাগ ও স্নেহ ভালোবাসায় বেড়ে ওঠা নিক্সন চৌধূরীদের ক্ষমতায়নে আমার পূর্ণ সমর্থন রইলো। অচল পয়সা দিয়ে কিছু ক্রয় বিক্রয় করা যায় না, তেমনি অচল নেতা দিয়ে জনগণের উন্নয়ন ও মন জয় করা যায়না। এ লজিক যদি ভ্রান্ত না হয়ে থাকে তাহলে আগামী নির্বাচনে আমরা ফরিদপুর ৪ আসনে কুমিল্লা থেকে ভেসে আসা কাজী জাফর উল্লাহ সাহেবের পরিবর্তে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মহান স্বাধীনতার অন্যতম সফল সংগঠক মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদাভাইয়ের পুত্র ও হুইপ লিটন চৌধুরীর ছোট ভাই জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর নাতি মোঃ মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধূরীকে আমরা ২০১৮ এর নির্বাচনে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চাই।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
মুক্তিযোদ্ধা মোকতেল হোসেন মুক্তি


Thursday, March 29, 2018

মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় সমীপে মুক্তির খোলা চিঠিঃ

মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় সমীপে মুক্তির খোলা চিঠিঃ
মহোদয়,
যথাযোগ্য মর্যাদা ও সন্মান পুরঃসর বিনীত নিবেদন এই যে, আমি জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশি জাতীয় কন্ঠশিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। ইউনিক গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নূর আলীর ব্যক্তিগত সচিব থাকাকালীণ ২০০২ সালে জামাত বি এন পি জোট সরকারের অবৈধ আস্তানা "হাওয়া ভবনের" ভূয়া মামলা ও নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হই এবং মালদ্বীপে এসে একটি স্কুলে শিক্ষকতা শূরু করি।
আমার চির স্বভাবজনিত দুর্বিনীত প্রতিবাদী মানসিকতার কথা স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান সরকারের বহু নেতা/মন্ত্রীগণ অবহিত রয়েছেন। আওয়ামী লীগ অফিসে বঙ্গবন্ধুর গানের মুক্তি নামেই সর্বজনবিদিত।
আওয়ামী রক্ত তাই প্রবাসে এসেও নীরব থাকতে পারিনি; যে দেশে প্রবাসীদের রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ সে দেশে আমি মুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ।
মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ( সাবেক হাই কমিশন) এর সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী হিসেবে বহু লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে।
Image may contain: 1 person
এমন কি এতদবিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জেনারেল আবেদীন, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল ফারুক, আব্দুস সোবহান গোলাপ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, জয়নাল হাজারী, শামীম ওসমান, জুনায়েদ আহমেদ পলক ও ডঃ দীপুমনিও অবহিত আছেন।
মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের অনেক অনুষ্ঠানেই বহু মন্ত্রী ও মান্যবর সাবেক হাই কমিশনার রিয়ার এডমিরাল আওয়াল সাহেবও যোগদান করেছিলেন । ভিডিও ও ছবি প্রমানবহন করে (ছবি সংযুক্ত )

মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২০১৪ সালে ইস্কান্দার স্কুলে জাতীয় শোক দিবস পালনের আয়োজন করেছিলাম । সে অনুষ্ঠান করতে দেয়নি হেড অফ দি চ্যাঞ্চেরী হারুন অর রশিদ।

আমি মালদ্বীপের মহামান্য প্রেসিডেন্ট ডঃ ইয়ামীন মাওমুনের একটি অনুষ্ঠানে তাঁর সামনেই ছিলাম।

হঠাত একটি ফোন এলোঃ
*******************
ঃহ্যালো আমি হেড অফ দি চ্যাঞ্ছেরী হারুন অর রশিদ বলছি;
ঃকে মুক্তি সাহেব বলছেন?
ঃজ্বি
ঃশুনেছি আপনি ১৫ই আগষ্ট পালন করছেন আপনার ইস্কান্দার স্কুলে?
ঃজ্বি আমার সব অনুষ্ঠান তো ইস্কান্দার স্কুলেই হয়ে থাকে।
ঃআপনি এ অনুষ্ঠান করতে পারবেন না; ঐ দিন হাই কমিশন থেকে অনুষ্ঠান করা হবে সূতরাং আপনার অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে;
ঃআমি এ মুহূর্তে কথা বলতে পারছি না; আমি প্রেসিডেন্টের সামনে কাজেই পড়ে কথা বলছি;
ঃআপনি বুঝতে পারছেন তো যে হাই কমিশন আপনাকে কল করেছে?
******************
মালদ্বীপের রাজধানী মালে ইস্কান্দার স্কুলে আমি মুক্তি যে হলটিতে পররাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রবাসী কল্যান ও জনশক্তিমন্ত্রী ইঞ্জিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন দেরকে সংবর্ধনা দিয়েছি, সে হলেই আয়োজন করেছিলাম জাতীয় শোক দিবস ২০১৪।

সে অনুষ্ঠানের অপরাধেই আমার মালদ্বীপের সোনালী দিনগুলো ১৫ই আগস্টের চেয়েও ভয়াবহ করে তুলেছিল এই হারুন অর রশিদ, হেড অফ দি চ্যাঞ্ছেরী এবং সাবেক হাই কমিশনার রিয়ার এডমিরাল আওয়াল।
********
মালদ্বীপে আমার হাতে গড়া আওয়ামী লীগের ছেলেদের ভয় ভীতি দেখিয়ে দেশে পাঠিয়ে দিয়ে আমাকে পঙ্গু করে দেয়া হল। তারপরেও হারুন অর রশিদ সাহেবের খায়েশ মিটেনি। সে মালে অবস্থানরত তার পোষা দালাল আদম ব্যবসায়ী, গাঞ্জা ব্যবসায়ী, ডলার ব্যবসায়ীদের একটি গ্রুপ নিয়ে চলে এবং সীমাহীন দুর্নীতি লুটপাট করে বেড়ায়। এখানে অতিরঞ্জিত কিছুই লিখছি না। প্রমান সহই দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেরণ করেছি আমি তদন্ত চাই। অতি সম্প্রতি সে ঐ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে। আমাকে টেলিফোনে মারধর করার হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি মালদ্বীপ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।

মালদ্বীপ দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন হয়ে গেল। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে বাংলাদেশ দূতাবাস গত ২১শে ফেব্রুয়ারি এবং স্বাধীনতা দিবসে একজন ভারতে প্রশিক্ষণ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় কন্ঠশিল্পী ও মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মালদ্বীপ সরকারের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিক্ষক (আমি নিজে ), একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মালদ্বীপে কর্মরত ৩৩ বছরের সিনিয়র ফিজিক্সের শিক্ষক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মীর সাইফুল ইসলাম এবং আর একজন ২৫ বছর যাবত মালদ্বীপে শিক্ষকতায়রত গজল সঙ্গীত শিল্পী মালদ্বীপের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সর্বজনবিদিত শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম। 
এই তিন জন শিক্ষকের কাউকেই মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মালদ্বীপস্থ দূতাবাস নিমন্ত্রণ করেন নি। বিষয়টি মালদ্বীপের মন্ত্রণালয় ও প্রেসিডেন্ট হাউসের কর্মকর্তাদেরও নজরে এসেছে। এ দেশে বাংলাদেশী এই তিনজন শিক্ষকই অত্যন্ত দক্ষতার কারনে এবং বিশেষ করে শফিক ও আমি গানের কারনে প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে কোন মন্ত্রী, ধনিক ব্যবসায়ী, বর্ণাঢ্য বণিক শিল্পী ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার কেউ নেই যে আমাদের এই তিনজনকে না চিনেন বা না জানেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে স্বাধীনতা দিবসে আমন্ত্রণ না করার হেতু একটাই হতে পারে যে দেশ আজো স্বাধীন হয়নি অথবা এই দূতাবাস পাকিস্তানের অথবা এই দূতাবাসে মহান স্বাধীনতার স্বপক্ষের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী নেই।

মহান স্বাধীনতা দিবসে কেন আমাদের দূতাবাস নিমন্ত্রণ করেনি? আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভাগীয় মাননীয় মন্ত্রী হিসেবে আপনাকে অবহিত করলাম।
আমরা জাতীয় সম্পদ। আমাদেরকে জাতীয়ভাবেই অপমান করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। কারন জানতে চাই।

মহানুভব, পররাষ্ট্রনীতি ও কুটনৈতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে খ্যাত আপনার সমগ্র জীবনের লব্ধ অভিজ্ঞতা আজ পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রশাসনিক জটিলতা সমস্যাদি সমাধান ও বিদেশের সাথে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপনে আপনার সততা শ্রম ও সফলতার সূত্র ধরেই আজ সুবিচারের প্রত্যাশায় আপনাকে অবহিত করলাম। যদি বাংলাদেশ সরকার মনে করে আমি বাঙ্গালী নই, বাংলাদেশী নই-আমার পাসপোর্ট বাংলাদেশ সরকার জব্ধ করতে পারে, আমার কোন আপত্তি নাই। কিন্ত এ অপমানের বোঝা নিয়ে বাঙ্গালী হিসেবে আর মালদ্বীপে পরিচয় দিতে চাইনা। প্রয়োজনে পাসপোর্ট পুড়িয়ে শরণার্থী হয়ে যাবো যেমনটি হয়েছিলাম ১৯৭১ সালে ভারতে আশ্রয় নিয়ে।
ভালো থাকুক দেশের মানুষ ভালো থাকুক শেখ মুজিবের নিরস্পেষিত নির্যাতিত লাঞ্ছিত বঞ্চিত অবহেলিত চির দুখি চির সংগ্রামী বাঙ্গালী জাতি।
আল্লাহ আপনার ভালো করুন;
দেশ আরো এগিয়ে যাক, আরো উন্নয়ন ঘটূক, উত্তরোত্তর বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ খ্যাত স্বীকৃতিকে ডিঙ্গিয়ে উন্নত দেশের তালিকায় লিপিবদ্ধ হোক;

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
আপনার একান্ত ভক্ত অনুরাগী
মোকতেল হোসেন মুক্তি
বীর মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় কন্ঠশিল্পী
সিনিয়র সঙ্গীত শিক্ষক
ইস্কান্দার স্কুল মালে, মালদ্বীপ

Tuesday, March 27, 2018

এক হতভাগা মুজিবসেনার কাহিনী

1 min ·
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=1006589996041981&set=a.123562217678101.12405.100000729691863&type=1&theater Image may contain: 1 person, sunglasses and text

প্লিজ ডু সামথিং ফর ইকরাম। আমার হাতে গড়া সোনার ছেলে। আমার মুজিবসেনা। আমার জাতির পিতার মৃত্যু বার্ষিকীতে ইকরাম মৃধা ও আমাকে কাঁদতে দেয়নি, শোক দিবস পালন করতে দেয়নি ২০১৪ সালে। মালদ্বীপস্থ সাবেক হাই কমিশনার রাজাকার পুত্র রিয়ার এডমিরাল আওয়াল ও হারুন অর রসীদ তৃতীয় সচিব ইকরাম মৃধা ও আমাকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি ও মালদ্বীপ সরকারের কাছে চিঠি লিখে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে ।
দেশে ও দেশের বাইরের সকল মুজিবসেনা ভাই বোনেরা, সবাই ইকরাম মৃধার উপর অবিচারের প্রতিবাদ ও ন্যায় বিচারের জন্য শেয়ার করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কেন অমান্য করা হচ্ছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সব জেনেও কেন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না?

বিদেশে বাংলাদেশের মিশন আছে ৬৯টি

বিদেশে বাংলাদেশের মিশন আছে ৬৯টি
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, বর্তমানে বিশ্বের ৫৩টি দেশে বাংলাদেশের ৬৯টি মিশন রয়েছে।
রবিবার জাতীয় সংসদে  সরকারি দলের সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়শা খানের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পোল্যান্ড ও ডেনমার্কে আরো ২টি পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস স্থাপনের সব প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। চলতি বছরেই এ দুটি দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আরো ৬৯টি দেশের সাথে সমবর্তী দায়িত্ব অর্পণের মাধ্যমে বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর সাহায্যে কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বাকি দেশগুলোর সাথে অবৈতনিক কনসাল জেনারেল নিয়োগের মাধ্যমে কূটনৈতিক যোগাযোগ রাখা হয়।
মাহমুদ আলী বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’-এর আলোকে শুধু ইসরাইল ছাড়া বিশ্বের প্রায় সব দেশের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং প্রত্যেক্ষ সহযোগিতা রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪৭টি দূতাবাস রয়েছে। দেশসমূহ হলো- আফগানিন্তান, অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, ব্রাজিল, ব্রুনাই, কানাডা, চীন, ডেনমার্ক, মিশর, ফ্রান্স, জার্মানি, ভ্যাটিকান সিটি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, ইতালি, জাপান, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, কুয়েত, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মরক্কো, মায়ানমার, নেপাল, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, ওমান, পাকিস্তান, প্যালেস্টাইন, ফিলিপাইন, কাতার, রাশিয়া, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, স্পেন, শ্রীলঙ্কা, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনাম।
আর এক তথ্যে জানা যায়ঃ

কূটনৈতিক মিশন


কূটনৈতিক মিশন  বর্তমানে বিদেশে বাংলাদেশের মোট ৪৯টি আবাসিক কূটনৈতিক মিশন আছে। তদুপরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন কনস্যুলেট জেনারেল, ডেপুটি হাইকমিশন, অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশন ও বিভিন্ন ভিসা অফিস ধরনের ১১টি সাব-মিশনও রয়েছে। বাংলাদেশের কয়েকটি অনাবাসিক কূটনৈতিক মিশনও আছে যেগুলো সাধারণত সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস/হাইকমিশন দ্বারা পরিচালিত হয়। বিদেশে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত এবং এ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে থাকলেও রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার অথবা মিশনপ্রধানদের নিয়োগ প্রদান করেন সরকার প্রধান বা  প্রধানমন্ত্রী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাধারণত রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার পদে যোগ্য ব্যক্তির নাম সুপারিশ করে প্রধানমন্ত্রীর নিকট পাঠায় এবং তার অনুমোদনের পরই এ নিয়োগসমূহ চূড়ান্ত হয়। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী মিশনপ্রধানের ৭০ ভাগ পেশাজীবী কূটনীতিকদের মধ্য থেকে এবং বাকি ৩০ ভাগ সরকার প্রধানের ইচ্ছানুযায়ী অকূটনীতিক ব্যক্তিদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিদেশে প্রেরিত রাষ্ট্রদূতগণ ক, খ, গ শ্রেণিতে বিভক্ত। ক, খ ও গ শ্রেণিভুক্ত রাষ্ট্রদূতরা যথাক্রমে সরকারের সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্মসচিবের পদমর্যাদাসম্পন্ন। সাধারণত জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে এ শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। ‘ক’ শ্রেণির রাষ্ট্রদূতদের পাঠানো হয় সেসব দেশের রাজধানীতে যাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। রাষ্ট্রদূতরা সাধারণত প্রথম নিয়োগ পান ছোট ও কম গুরুত্বপূর্ণ দেশে।
বিদেশে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোর দায়িত্বে থাকেন রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার এবং তাদের অনুপস্থিতিতে একজন অস্থায়ী চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স। মিশনগুলোতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদেরও নিয়োগ করা হয়।
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতে নিম্নোক্ত কূটনৈতিক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা থাকেন:
১. রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার;
২. মিনিস্টার/মিশনের উপপ্রধান অথবা হাইকমিশনের ক্ষেত্রে ডেপুটি হাইকমিশনার (গ শ্রেণির রাষ্ট্রদূত পদমর্যাদার);
৩. কাউন্সিলর (উপসচিব পদমর্যাদার);
৪. প্রথম সচিব (ঊর্ধ্বতন সহকারি সচিব পদমর্যাদার);
৫. দ্বিতীয় সচিব (সহকারি সচিব পদমর্যাদার);
৬. তৃতীয় সচিব (সহকারি সচিব পদমর্যাদার)।
যেসব গুরুত্বপূর্ণ শহরে প্রচুর সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীর বাস সেসব দেশের দূতাবাস/হাইকমিশন ছাড়াও উক্ত শহরগুলোতে, বিশেষত ব্যবসা ও কনস্যুলার সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার কনস্যুলার জেনারেল/ডেপুটি হাইকমিশন স্থাপন করে। সাধারণত এসব মিশনের প্রধান থাকেন সরকারের যুগ্মসচিব বা ‘গ’ শ্রেণির রাষ্ট্রদূত পদমর্যাদার কনসাল জেনারেল বা ডেপুটি হাইকমিশনার।
কোনো বন্ধুরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির প্রত্যক্ষ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পান এবং স্বাগতিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান দ্বারা স্বীকৃত হন। সেজন্য তিনি ওই দেশের সকল ঊর্ধ্বতন মহলে অবাধ যাতায়াতের সুযোগ পান এবং উভয় দেশ ও সরকারের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সম্পূর্ণ দায়ী থাকেন। বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান, সরকারি দলিলে স্বাক্ষর দান এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অন্যান্য চুক্তি স্বাক্ষর করার পূর্ণ ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়। ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী তিনি ও অন্যান্য সকল কূটনীতিক ও অকূটনীতিক কর্মচারী পূর্ণ কূটনৈতিক স্বাধীনতা ও সুযোগ লাভ করেন। এ সুবিধা বাংলাদেশে নিযুক্ত সকল বিদেশি কূটনীতিকও পারস্পরিক ভিত্তিতে ভোগ করে থাকেন।
কূটনৈতিক মিশনের দ্বিতীয় প্রধানের পদে থাকেন রাজনৈতিক বিভাগ থেকে একজন মিনিস্টার/মিশনের উপপ্রধান।  কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশে তাকে ডেপুটি হাইকমিশনার বলা হয়। মিশনের রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান হিসেবে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন পেশাজীবী কূটনীতিক ও অন্তর্বর্তীকালে মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স অথবা ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। অন্যান্য অফিসার, যেমন কাউন্সিলর, প্রথম সচিব, দ্বিতীয় সচিব ও তৃতীয় সচিবের দায়িত্ব মিশনের প্রধানই নির্ধারণ করেন এবং তারা সর্বদা তার কাছ থেকে নিয়মিত নির্দেশনা পেয়ে থাকেন। একজন ঊর্ধ্বতন অফিসার, মিনিস্টার অথবা কাউন্সিলর সাধারণত দূতাবাসের প্রধানের দায়িত্বে থাকেন এবং মিশনের রাজনৈতিক বিষয় দেখাশুনা করেন। রাজনৈতিক বিভাগের একজন কর্মকর্তা ‘আয়ন ও ব্যয়ন অফিসার’ হিসেবে মিশনের আর্থিক ও হিসাবসংক্রান্ত বিষয় দেখাশুনা করেন। তবে মিশনের সার্বিক আর্থিক ক্ষমতা মিশনপ্রধানের হাতেই ন্যস্ত থাকে।
বড় বড় মিশনগুলোতে বিভিন্ন বিভাগের অফিসারদের কূটনৈতিক পদমর্যাদা তাদের দেশে থাকাকালীন জ্যেষ্ঠতা অনুসারে নির্ধারিত হয়ে থাকে। মিশনের প্রতিরক্ষা অ্যাটাচি সাধারণত সেনাবাহিনীর একজন বিগ্রেডিয়ার অথবা নৌবাহিনী বা বিমানবাহিনীর সম পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। তিনি মিনিস্টারের কূটনৈতিক মর্যাদা ভোগ করেন। অন্যদিকে যুগ্মসচিবের পদমর্যাদাসম্পন্ন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিভাগের প্রধানকেও মিনিস্টারের কূটনৈতিক মর্যাদা প্রদান করা হয়। অনুরূপভাবে তথ্য, শ্রম, কনস্যুলার ও শিক্ষা বিভাগ ইত্যাদির কর্মকর্তাগণ তাদের স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে কূটনৈতিক মর্যাদা পেয়ে থাকেন। তাদের নিয়োগপত্রেও এসব কূটনৈতিক মর্যাদার উল্লেখ থাকে।
বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে কিছু অকূটনৈতিক টেকনিক্যাল কর্মচারীও থাকেন। এদের স্বাগতিক দেশের নাগরিকদের মধ্য থেকে নিয়োগ করা হয়। একইভাবে কূটনৈতিক অফিসারদের দৈনন্দিন কাজকর্মে সহায়তার জন্য মিশনের বিভিন্ন বিভাগের অন্যান্য অকূটনৈতিক পদেও দেশীয় বা স্থানীয় লোক নিয়োগ পেয়ে থাকে।
আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রথানুসারে কূটনৈতিক মিশনের অফিসকে চ্যান্সারি এবং রাষ্ট্রদূতের বাসস্থানকে দূতাবাস বলা হয়।

'Bangladesh Mission'

'Bangladesh Mission'1971

Given the complex scenario and severe resources constraints, the government in exile took some time to come out with a definitive strategy in the area of diplomacy and to arrange the necessary funds. Some brave diplomats were ready to join the liberation war and had established contacts with the Mujibnagar Government in early April 1971 but they were advised to wait for further instructions. However, soon thereafter, a policy was worked out to challenge the enemy on the diplomatic front. During the course of the war, some of the Bengali civil servants and diplomats serving Pakistan began defecting and severing links with Islamabad whilst the vast majority turned a blind eye. They subsequently joined the Mujibnagar Shorkar and formed solidarity groups called 'Bangladesh Mission', which was set up on 27 August 1971. New Delhi, Kolkata, Washington DC, New York and London emerged as the main centers of the diplomatic offensives.

The diplomatic offensive had three specific goals:

  1. to build international public opinion in favour of our cause of independence and to ensure international assistance to our suffering humanity who had taken shelter across the border;
  2. to isolate the Pakistani regime by projecting the atrocities and crimes against the humanity which they were committing in Bangladesh with a view to cutting off all foreign economic and military assistance to the Yahya regime;
  3. to create the necessary condition so that the friendly countries who were supporting our cause could take a more firm and decisive action to expedite our independence process.
Efforts continued on the diplomatic front as the ‘Bangladesh Mission’ pressed the Indian foreign ministry to accord official recognition to the newly formed state. India was still working to build up international sympathy for Bangladesh. Many Bengali officials who worked for the Pakistani mission in Calcutta had clandestine meetings with Shehabuddin at the residence of the well-known Indian political leader Dr. Triguna Sen where they urged Pakistani officials to join the liberation war.
, #
Our provisional Mujibnagar government had earlier sent instructions to all Bengali officers and staff to resign from Pakistan government posts in foreign countries, particularly from the Pakistan missions. These Bengali members working abroad in one or another capacity with the Pakistani establishments abroad were advised to report, after their resignation, either to the government in Calcutta or to London, the second most important place in our Liberation War outside India.
Mohiuddin Ahmed, Second Secretary of Pakistani High Commission in London

'Special Envoys'

A group of leading Bengali intellectuals and expatriates such as Abu Sayeed Chowdhury and Syed Anwarul Karim were appointed 'Special Envoys' by the Mujibnagar Shorkar to represent the government. They began touring western capitals advocating the Bangladesh cause and mobilising world opinion in favour of war of liberation.
Abu Sayeed Chowdhury (later the President of Bangladesh in 1972) was serving as the Vice Chancellor of Dhaka University at the time. He was attending the UN Human Rights Commission in Geneva, Switzerland, when news of the Pakistani atrocities had reached him. He immediately resigned from his post as Vice Chancellor as protest against the genocide. From Geneva he travelled to London where worked as the Special Envoy in UK. In September 1971, Abu Sayeed Chowdhury was made Bangladesh’s Permanent Representative in New York.
Since 25 March 1971 I had been receiving regular phone calls at my flat in London from Abu Sayeed Chowdhury, the exiled Chief Justice of the High Court in Dhaka, who was to become the first President of Bangladesh. He would ring from a pay phone and always late at night.
'Chief Justice Chowdhury speaking'.
'Yes, Chief Justice'.
'At this very hour terrible and wonderful things are happening in my country. Heroic victories are being won by my people, but we are fleas against the lion'.
The pip-pip-pips of the eccentric British telephone system would invariably drown the Chief Justice's voice as his money ran out.
Meanwhile, Syed Anwarul Karim, Minister and the Deputy Permanent Representative of Pakistan to the United Nations in New York, was appointed the Special Envoy in USA. Syed Anwarul Karim or SAK as his friends call him endearingly, had over 20 years experience in the Pakistan Foreign Service having joined them in 1950. He led the Bangladesh Mission to UN in New York during the Liberation War.
K. M. Shehabuddin was appointed the first Chief of Bangladesh Mission at New Delhi and later replaced by Humayun Rashid Choudhury. Mohammad Hossain Ali became Chief of Bangladesh Mission at Kolkata, whilst Mustafizur Rahman Siddiqui, then Second Secretary in the Pakistan Embassy in Kathmandu (Nepal) who had previously experienced the Bengali officer's revolt in Chittagong on 25 March 1971, became Chief of Bangladesh Mission at Washington, USA, on 19 October 1971.

Bengali diplomats switch allegiance and make world pay attention

Thousands of miles away in different continents and foreign surroundings, Bengali diplomats were presented with an agonising dilemma - do they keep silent on the genocide carried out on their own people and carry on with their privileged lifestyle or do they fight for justice and risk their and their family's lives?
It was quite terrifying for my family because I could not alert them earlier. They were in mortal fear of what would happen to them because I'd given up my job and put them at great risk. My father, younger brothers and mother were moving from one place to another, taking shelter and I remember there was a case filed against me for treason. But they couldn't prosecute me because Bangladesh became independent before they could get hold of me.
Mohiuddin Ahmed, first diplomat in Europe to switch allegiance, on the threat on his family back in Bangladesh
The vast majority of the diplomats came from modest background and fought ethnic discrimination to rise to the pinnacle of their bureaucratic career. They had to strive to be candidate per excellence in order to excel in an environment with a pro-Punjabi bias. Little did they know that everything in their lives were about to change after an uprising, and subsequent army action, in Bangladesh.
Writing about his early days as probationer, Shehabuddin feels that General Ayub Khan did great harm to the service by disallowing young trainees from going to the Fletcher School of International Law and Diplomacy in Massachusetts, USA. According to him, this was due to Ayub Khan’s “poor educational background” and so he could not appreciate the value of learning.
,
Having undertaken such an ardous career journey, it would've been mutually beneficial to stay in alliance with the Pakistanis. They (the diplomat) could continue with their comfortable existence with all its perk whilst in return the Pakistani government would reward them and point to these 'loyal' Bengalis as proof that all is OK within East Pakistan. Everything, as Pakistani propaganda machine was keen to show, was just plain "mischief making by fifth element".
Instead, a handful of these brave sons of the soil decided to take the lonely and heroic step and show leadership when their motherland needed it most. It was a time of uncertainty and chaos. The world did not know if Sheikh Mujibur Rahman had made his way out of Dhaka or had been abducted by the Pakistan Army. With the fate of their long-standing, charismatic leader uncertain and with reports of widespread atrocities in Bangladesh filtering out to the outside world, the time came for the Bengali diplomats to stand up. It was now or never.
They risked the wrath of the Pakistan government even at the cost of jeopardizing the security of their near and dear ones back home, not to mention their own 'accidental' death if their defection was detected early. Such 'unfortunate incidents' could be easily arranged in foreign land as most countries had not openly supported the Bengali cause. With such gloomy fate looming over them, the vast majority of the Bengali diplomats posted in Pakistani Embassies abroad did not "defect" but the contributions of the few who did were invaluable. As it was, fortune indeed favoured the brave.
In this post-cold war, globalizing era, we see so much international concern for democracy; freedom and human rights. Alas, only four decades ago when our people wanted to establish their inalienable democratic and national rights, today’s "champions" of democracy and human rights did nothing to uphold our legitimate aspirations or to stop the genocide. They had simply viewed our war of independence in the context of their East- West ideological rivalry.
,
The path which the Bengali diplomats trode had victory and failure divided by a thin barrier. They left their comfortable and highly coveted job for an uncertain future and joined the Bangladesh liberation movement, in most instances, barely few years after joining Pakistan's diplomatic service. Those who switched their allegiance were considered by many as brave patriots, whilst others, notably Pakistani loyalist, accused them of high treason. Each had a gripping story of their own. Dramatic, eventful, and tense.
We did not join the front [line] with arms in hand, but what we did was create news and awareness. [Nevertheless] There were people who were sacrificing their lives so I did the least I could do. I was never in danger of losing my life so I still don't consider myself a real freedom fighter though I have been given that honour. It was a very exciting time for us and I am humbled and honoured that I had a small role in the Liberation War.
Mohiuddin Ahmed, the first diplomat in Europe to switch allegiance
I told him [Ziaur Rahman] you are a great hero, and he replied "it is true…we fought here but you also fought for Bangladesh on foreign land". He told me it encouraged them when we changed our side and expressed loyalty to Bangladesh.

First two defectors declare allegiance to Bangladesh even before creation of Mujibnagar Shorkar

  • K.M. Shehabuddin () Second Secretary at the Pakistan High Commission in New Delhi.
  • Amjadul Huq () Assistant Press Attaché at the Pakistan High Commission in New Delhi.
Shehabuddin joined the Bangladesh movement on 26 March 1971, when he was the third secretary based in New Delhi. Some foreign correspondents told him about all that had happened in Dhaka the night before and how the Pakistani army terrorised young Bengali men and women. Deceiving the ever-watchful eyes of the ISI at a Pakistani mission in Delhi, he finally managed to leave his official residence with his wife and two girls on 6 April 1971. The author was granted asylum after talks with Indian foreign office officials and also with the then prime minister, Mrs Indira Gandhi.
,
K. M. Shehabuddin and Amjadul Huq were granted asylum in India and the government of India refused to hand over the two diplomats to the Pakistan High Commission.
The two diplomats read out a statement seeking international cooperation and appealed to 'all the decent and civilised people everywhere in the world for sympathy'.
In a statement before the international media, they [K. M. Shehabuddin and Amjadul Huq] denounced the brutal onslaught by Pakistan on the civilian population of Bangladesh and announced their resignation from the Pakistan Foreign Service to work for Independent Bangladesh. They also appealed to the nations of the world to recognise the sovereign state of Bangladesh. Shehabuddin's brave action, even before a government for Bangladesh was formally constituted, was an unique event and provided a flashpoint that inspired the suppressed people of Bangladesh.
,
In subsequent months, both K. M. Shehabuddin and Amjadul Huq played a leading role on the diplomatic front and were able to witness at first-hand India's participation in the liberation war. Their bold step had inspired other diplomats to switch allegiance and they were joined in New Delhi by Humayun Rasid Choudhury, Counsellor, and some members of the staff in November 1971.
However, the epicenter of the Bengali diplomatic activity in India was in Kolkata where the Probashi Shorkar was based.

First time Jatiyo Potaka hoisted on foreign land

Mohammad Hossain Ali had served Pakistan Foreign Service for 22 years. In 1971 he was the Bengali Deputy High Commissioner of Pakistan in Kolkata, India. After the March crackdown, when it was agreed a new government of Bangladesh would be formed, Hossain Ali was asked to join this new government. He responded by saying he'd only join if Tajuddin Ahmad asked him. Thus a meeting was arranged at the Gaylord restaurant beside the Ganges River where both men met after darkness and talked face-to-face. Tajuddin Ahmad told Hossain Ali to join and he confirmed his allegiance. A day was fixed and preparation were undertaken to hoist the flag of the People's Republic of Bangladesh.
Hossain Ali hoisted the first Bangaldeshi flag on foreign land.
,
The Pakistan Government reacted to Hossain Ali's defection by insisting that he and others had changed allegiance under "duress" and "coercion" of the Indians. But when the Bengalis were interviewed they confirmed they were patriots and had no desire to collaborate with the Pakistanis to annihilate their own kinsfolk.
A week after Hossain Ali's defection, on 26 April 1971, A. H. Mahmood Ali, Vice Consul in the Pakistani Consulate in New York, also declared his allegiance to Bangladesh - making him the first diplomat in USA to defect. He became an instant hero and his wife took up a small job to support the family.

M Hossain Ali The Vanguard Diplomats of the Liberation War

M Hossain AliImage result for m hossain ali of bangladesh

Native name হোসেন আলী
Born 1 February 1923
Bhangura Upazila, Pabna District, Bengal Presidency, British India
Died 2 January 1981 (aged 57)
Canada
Nationality Bangladeshi
Alma mater University of Karachi
University of Dhaka
Occupation Diplomat
M. Hossain Ali was a Bangladeshi diplomat and former ambassador to the United States.

Early life

Ali was born in Patharghata, Bhangura Upazila, Pabna District on 1 February 1923. In 1945 he graduated from University of Dhaka with a bachelor degree in Chemistry. In 1948, he completed his LLB from University of Karachi in 1948. In 1949 he completed the Pakistan Civil Service examination and joined the foreign service. He studied further on foreign policy and diplomacy in Foreign Service Institute in Washington D.C. and in the British foreign office in London. He completed a diploma program in the Paris based Institute of International Relations.

Career

Ali was posted in a number of different diplomatic posts including in Australia, Belgium, Turkey, Saudi Arabia, Burma, United Kingdom and Netherlands. During the Bangladesh Liberation War in 1971, he was the Deputy High Commissioner at Calcutta, India for Pakistan. He was transferred by the government to West Pakistan. On 18 April 1971, he refused to obey the orders and declared his allegiance to the Bangladesh government in exile. He was supported by 65 of his colleagues in the commission. The Pakistan High Commission in Kolkata was changed to the Bangladesh High Commission.
The flag of Bangladesh was raised in the Embassy compound. It was just one day after the declaration of the People's Republic of Bangladesh at Baidyanathtala. First Secretary Rafiqul Islam Chowdhury, third Secretary Anwarul Karim Chowdhury and Assistant Press Attaché Moqshed Ali were also present in that ceremony and were negotiating with other nations for support of Bangladeshi independence. The role of Ali is very important, as he pioneered the way for other expatriate Bengali diplomats to pledge their allegiance to the new Bangladesh Government. Ali was then named Chief of Mission at Calcutta for Bangladesh.
Following this lead, Bengali diplomats defected to the new government at the missions in New York, Washington, D.C., London, Baghdad, Manila, Kathmandu, Buenos Aires, Tokyo, Hong Kong, Lagos and Bern. In 1972, Ali was appointed the first High Commissioner in Australia for Bangladesh and later served as the first Bangladeshi Ambassador to the United States. He served as the ambassador of Bangladesh to West Germany from 1976 to 1979. He was then appointed the ambassador of Bangladesh to Canada.

Remembering Bangladesh’s First Diplomat

The Vanguard Diplomats of the Liberation War
On April 6, 1971, two young Bengali diplomats, Mr. KM Shehabuddin and Mr. Amjadul Huq, announced their decision to defect from Pakistan and pledge allegiance to Bangladesh at a press conference in New Delhi:
We have severed our connection with the fascist military dictatorship in Islamabad, as our conscience no longer permits us to act against our deepest convictions. From now our allegiance is to Bangladesh, which derived its authority from the unambiguous mandate of the 75 million Bengali people.
Prior to their defection, Mr. Shehabuddin, who had joined the Foreign Service of Pakistan in 1966, occupied the post of second secretary and Mr. Huq the post of Assistant Press Attaché at the High Commission of Pakistan in New Delhi. In “KM Shehabuddin – in whom patriotism was all,” Syed Badrul Ahsan insightfully described the context of the very first diplomatic defection in favor of Bangladesh:
At the time Shehabuddin spoke to the world, the whereabouts of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman were unknown, the Mujibnagar government was yet to take form and substance and the Mukti Bahini was still in the future. These were the realities which underpinned Shehabuddin’s boldness in as much as they pointed to the grave perils he had put himself and his family in. Away from his home in occupied Bangladesh, no longer in allegiance to the state of Pakistan, without a job in a foreign land, Shehabuddin and Amjadul Huq were lonely crusaders. Not until the Mujibnagar government emerged before the global community on 17 April 1971 would these two brave Bengalis know that they were truly on a powerful movement into the future.
As the first Bengali diplomats to repudiate Pakistan, Mr. Shehabuddin and Mr. Huq played a pivotal role in launching and shaping the diplomatic front of the Liberation War. Born nine years after the War, I would learn about the contributions of my father, Mr. Shehabuddin, in bits and pieces from my parents, my father’s memoirs, and his colleagues.
At an event organized by the Association of Former Ambassadors at the Foreign Ministry on December 3, 2015, Mr. Huq recounted how my father apprised him of his decision to resign from the Foreign Service of Pakistan back in March 1971. After receiving news of the military crackdown in Dhaka and hearing the declaration of independence, my father went to Mr. Huq’s office at the Pakistani High Commission and informed his colleague of his decision to resign from the Pakistan Foreign Service and work for Bangladesh’s liberation.
Mr. Huq said, “I am with you. You have my full support. But I have some questions. You have a family. Have you thought of your wife and two little daughters? Your father-in-law must have had certain hopes when he agreed to your marriage with his daughter. He must have expected that you would one day become an Ambassador of Pakistan. If you defect, that will never happen. If Bangladesh isn’t liberated, you may be tried and executed for treason. What will happen to your wife and children?”
When my father said he and my mother had taken this decision together, Mr. Huq responded he wished to discuss this with my mother in person. My father asked Mr. Huq to come home with him and speak to my mother. Mr. Huq said it would not be prudent for both of them to be seen leaving the High Commission together. He asked my father to go home and said he would come over soon. As my father left his office, Mr. Huq looked out of his window to check whether my father was heading to his car or had rushed off to report his colleague’s seditious intentions to the High Commissioner. To his relief, he saw my father go straight to his car and drive off. After a few minutes, Mr. Huq discretely made his own way out of the compound.
When Mr. Huq arrived at my parents’ home, he asked my mother if she understood what my father’s defection would mean for her, their family, and their future. My mother was adamant: they could no longer associate themselves with a state that had rejected peaceful negotiations and taken to brutally repressing and killing its own citizens. She was confident her father and the rest of her family would understand and support their decision to defect. Moved and inspired by my mother’s determination, Mr. Huq worked with my father to figure out how to execute the defection and support Bangladesh’s struggle for liberation.
On March 28, my father met with Mr. AK Ray, a senior officer at the Ministry of External Affairs, to inform him of their decision and to request authorization to openly work for Bangladesh in New Delhi. Indian authorities were initially apprehensive about the effect that the defection of Bengali diplomats in India might have on the security of Indian diplomats and citizens in East and West Pakistan. Nevertheless, they eventually gave permission for the two diplomats to openly work in New Delhi for the cause of Bangladesh’s liberation. On April 6, 1971, the first diplomats to have pledged allegiance to Bangladesh stepped into a life of both uncertainty and tremendous hope.
Over the next nine months, my parents and Mr. Huq worked tirelessly to build support for Bangladesh. On April 9, my parents met with Prime Minister Indira Gandhi, who assured my father that he “could work freely for Bangladesh on Indian soil”. After the formation of the provisional Mujibnagar government in mid-April, Prime Minister Tajuddin Ahmad appointed my father to the Bangladesh Foreign Service and Mr. Huq to the Bangladesh Information Service. He asked my father to open and head a mission called the Bangladesh Information Center in New Delhi. My father and Mr. Huq worked from New Delhi to support the liberation effort through press conferences, statements, protests, and cultural events. Even my sisters Elora and Farhana, then toddlers, were conscripted to participate in demonstrations with small placards around their necks. At the flag hoisting ceremony at the mission in New Delhi on August 30, my father arranged for readings from the Quran, Gita, Bible, and Tripitaka to emphasize the secular character of our state. To him, as to many involved in the liberation struggle, secularism connoted religious pluralism. On December 6, 1971, Mr. T.N. Kaul, the Indian Foreign Secretary, handed over copies of the letter stating India’s formal recognition of Bangladesh to my father, who forwarded them to the Mujibnagar government.
The Impact of the Defection
The defection of the two young diplomats on April 6, 1971 undermined the legitimacy of the Pakistani state on the global stage, served as an expression of solidarity with freedom fighters within Bangladesh, and inspired other Bengali diplomats in Pakistani missions around the world to use defection as a tool of protest. Just as 40 years later, defections by Libyan and Syrian diplomats in 2011 would signal cracks within their respective states, these defections showed the world that the Pakistani state had engaged in acts so heinous that it could no longer count on even the nominal allegiance of its own officers.
To freedom fighters within Bangladesh, the defection came as an invaluable expression of solidarity and reassurance that provided momentum for collective action. In “Portrait of a Patriot”, Dr. Mozammel Khan wrote, “The news of his cutting ties with the Pakistan High Commission along with his colleague, the assistant press secretary, Amjadul Huq, was like music to the millions who were on the way to join the muktibahini”.
In addition to reinforcing the confidence of freedom fighters within Bangladesh, the defection in New Delhi showed other Bengali diplomats a path through which they too could register their protest and join the struggle for Bangladesh’s liberation. After the formation of the Mujibnagar government, the Government of Pakistan had to wrestle with one public relations disaster after another as diplomatic officers and staff around the world renounced Pakistan: the defections of Mr. Hossain Ali, Mr. Anwarul Karim Chowdhury, and 63 other Bengali personnel in Calcutta on April 18, Mr. Mahmood Ali in New York on April 26, Mr. Muhith in Washington DC on June 30, and Mr. Mohiuddin Ahmed in London on August 1 embarrassed the Pakistani regime and bolstered efforts to build international support for Bangladesh. Another milestone was achieved when Mr. Abul Fateh, then Pakistan’s Ambassador to Iraq, defected on August 15. In “The Defection”, Mr. Anatul Fateh, his son, managed to convey some of the awe-inspiring audacity and courage Ambassador Fateh showed.
Life after Liberation
After Bangladesh’s liberation on December 16, 1971, my father proudly spent the next 30 years of his life in the Foreign Service of Bangladesh. He went on to serve as Ambassador to Poland (1983-1987), Kuwait (1987-1991), France (1991-1996), and the United States (1996-2001).
It was during my father’s term in Kuwait that the Iraqi invasion took place in August 1990. Many diplomats rapidly left Kuwait for safety and in compliance with the Iraqi government’s orders. In contrast, my father and his officers stayed behind until mid-September to express solidarity with Kuwait and oversee the evacuation of Bangladeshis. They worked long hours to issue travel passes to workers whose passports had been taken by employers who had left Kuwait. After Kuwait’s liberation in February 1991, my father was one of the first diplomats to return to the emirate. Rooted in his own experiences during Bangladesh’s Liberation War, my father’s demonstration of solidarity with Kuwait moved members of the Kuwaiti government and motivated their decision to grant prestigious contracts to Bangladesh.
In 2001, my father retired and moved back to Bangladesh with my mother and younger sister. He focused on writing his memoirs, which UPL published as There and Back Again: A Diplomat’s Tale in 2006. From the UK and US, my sisters and I would try to visit my parents as often as possible. After finishing my Ph.D. in the US in 2012, I moved to Bangladesh in the hope of spending more time with my parents. My father was thrilled that I had joined the Asian University for Women in Chittagong and would call me from Dhaka at least twice a day to ask about my experiences with teaching and living in his hometown.
Last year, our conversations came to an abrupt end. On April 14, 2015, my father was hospitalized with low blood pressure and abdominal pain. As it was the Bengali New Year, the hospital seemed understaffed and no diagnosis was made that day. The next day, several doctors came to see my father, diagnosed him with internal bleeding, and ordered a blood transfusion. Unfortunately, it was too late. Within a few hours of the diagnosis, he suffered a cardiac arrest and doctors were unable to resuscitate him. He had once emphatically told me he wanted to be buried next to his parents in Muhammadpur in Chandanaish, Chittagong, so we made arrangements to take him back to the village where his remarkable journey had begun.
Recognition after death
On March 24, 2016, the Government of Bangladesh awarded a Shadhinota Purushkar (Independence Award), the highest state honor, to my father. The Foreign Ministry had initiated the application process for the award a few months after my father passed away. Posthumous awards serve as a reminder of the importance of collecting historical narratives while we still have the opportunity to do so.
It may seem indulgent to visit the past when we seem to lack the time, courage, and creativity to address the challenges of the present, but such narratives serve as a useful reminder of people’s capacity to set aside cost-benefit calculations to make peace with their conscience, pursue their ideals, and stand up for freedom. My father and other diplomat-freedom fighters gave up the privileges, comforts, and security of their posts to protest atrocities committed by their employer and government, the state of Pakistan. How many of us can imagine engaging in such radical protest? How many of us recognize, let alone try to address, our complicity in the oppressive, imperialist, and corrupt structures in our world? How often do we choose the familiar and secure over the principled and just? Even if we recognize that we suffer from the boiling frog syndrome, most of us do not know where to jump for both integrity and survival.
My father and Mr. Huq refused to remain cogs in a repressive bureaucratic machine and turn a blind eye to state-sanctioned crimes to deprive citizens of their political, civil, and economic rights. As we approach the 45th anniversary of my father’s defection on April 6, 1971 and the first anniversary of his death on April 15, 2015, I continue to reflect upon his exemplary courage and direct my respect and gratitude towards those who sustain the struggle for freedom, justice, and pluralism in Bangladesh and beyond.
Dr. Sarah Shehabuddin is an Assistant Professor of Political Science at the Asian University for Women.

 

List of Bangladesh Missions

List of Bangladesh Missions

ফরিদপুর-চার যুদ্ধ হবে আর একবার

ফরিদপুর-চার যুদ্ধ হবে আর একবার *********************** প্রচলিত আছে যে ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের দাতা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জাফর সাহেবে...