ফরিদপুর-চার
যুদ্ধ হবে আর একবার
***********************
প্রচলিত আছে যে ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের দাতা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জাফর সাহেবের আসল বাড়ী কুমিল্লা। তিনি কিভাবে ফরিদপুরের নাগরিক ও ভোটার হলেন তা'ব্যাখ্যা নাই দিলাম। বলতে চাই বিগত সুদীর্ঘ একবার ৫ বছর এবং এবারে একটানা ৯ বছর ক্ষমতা থাকা সত্বেও কাজী জাফর উল্লাহ সাহেব ফরিদপুর-৪ আসনে এক ওড়া মাটিও কাটেন নি এবং এমন কোন নজির নেই যে তিনি গোটা আসনের কোথাও দুই টাকার উন্নয়ন করেছেন। এ কথা কারো মন গড়া গল্প নয়, এটা এলাকার সকল নৌকার ভোটারদের অভিযোগ। একটি বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে জাফর উল্লাহ সাহেব জনগণকে ক'দিন দিয়েছেন। হিসেব করলেই আসল পরিসংখ্যান বেড়িয়ে আসবে।
ফলে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ভক্ত অনুরাগী নৌকার ভোটার রা একজন জাফর উল্লাহ বিকল্প প্রার্থী সন্ধানে ছুটে বেড়ায় এবং প্রার্থনা করে; হঠাত কোথা থেকে উদয় হল নিক্সন চৌধূরী, গর্জে উঠলো ভাঙ্গা নগরকান্দার চির বঞ্চিত অবহেলিত মানুষগুলো। বিকল্প নেতা না পেয়ে বিকল্প মার্কাই বেছে নিতে হল সাধারণ ভোটারদের। স্বয়ং বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজে সফর করে, মানুষকে প্রতিশ্রুতি এবং উদাত্ত আহবান জানিয়েও মানুষের মন এই খন্দকার মোস্তাক আহমেদের জেলায় জন্ম নেয়া কুমিল্লার জাফর উল্লাহর দিকে আকৃষ্ট করতে পারেন নি। যা'ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত নির্বাচনের সব চেয়ে ভরাডুবি এবং লজ্জাজনক।
মানুষের রুচিবোধ চিন্তা চেতনা ইচ্ছে আকাংখা আশা ভরসার প্রতিফলন যার মাঝে দেখতে পায়;তাকেই নির্বাচিত করে। দুরন্ত দুর্বার বঙ্গবন্ধুর নাতনি নিক্সনের মাঝে মানুষ তার কিছুটা হলেও খুজে পেয়েছে। সাথে যোগ দিয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধীশক্তি জামাত বি এন পি। ফলে নৌকার কিছু ভোট এবং বি এন পি জামাতের ভোট নিক্সনের বাক্সে পরার ফলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ধনকুবের কিপটে জাফর উল্লাহ'র ভরাডুবি হয়।
বিষয় সেটি নয়; বিষয় হচ্ছে সব জেলায়/উপজেলার বঙ্গবন্ধু নৌকা পাগল মানুষগুলো কিছু না পেয়েই ভোট দেয় এ কথা সঠিক নয়" বলে প্রমান করেছিল ভাঙ্গা সদরপুরের মানুষ। তারা তাদের নিজস্ব এলাকার গরীব কৃষক শ্রমিক জেলে তাতী কামার কুমার ধনিক বনিকের পাশে উক্ত এলাকায় জন্ম নেয়া কোন একজনের প্রত্যাশায় ছিল। তারা পেয়ে গিয়েছে। নিক্সন চৌধূরী পদ্মা সেতু টেন্ডারবাজীতে কত শ্ত কোটি টাকা মেরেছে এবং সে টাকায় ফরিদপুর-৪ আসনের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। আমি এই "অর্থ লুন্ঠন এবং উন্নয়ন" দুটো শব্দকেই অভিনন্দন জানাই। টাকা চুরি করে যদি সে টাকা জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে ব্যয় করা হয়, তাহলে বলবো সকলেরই নিক্সন চৌধূরীর মত চোর হওয়া একান্ত অপরিহার্য ।
নিক্সনকে স্থানীয় মাস্তান দিয়ে হুমকি ধমকি দৌড়ানি পিটানি ভুয়া মামলা দিয়ে নেতা কর্মীদের হয়রানি ইত্যাদি করেও কাজী জাফর উল্লাহ সাহেব নিক্সন চৌধূরীর কিচ্ছু করত পারেন নি বরং নিক্সনের পিছনে টাকার জন্য নয়-উন্নয়ন এবং এই টগবগে যুবকের সাথে হাত মেলাতে মন প্রান খুলে নিজেদের সমস্যাদির কথা বলতে সারাক্ষন কাছে পায়; এটাই জনগণের সারা জীবনের চাহিদা ছিল-যেটা বয়োবৃদ্ধ ধনকুবের কিপটা অলস প্রেসিডিয়াম সদস্য জাফর উল্লাহ সাহেবের মধ্যে আদৌ তিল পরিমান পরিলক্ষিত হয়নি।
গত নির্বাচনে নিক্সন চৌধূরীর নিকট ভরাডুবির পর ইদানিং জাফর উল্লাহ সাহেব গ্রামে গ্রামে হাটে চেষ্টা করছেন, কিন্তু নিক্সন চৌধূরীর মত মন মানসিকতা ও দৈহিক স্ববলতার অভাবে নিক্সনের ১০ ভাগ অভিনয়েও তিনি ডাউব্বা মেরেছেন।
এখানে আওয়ামী লীগ বা নৌকার বিরোধীতার প্রশ্ন নয়; এখানে প্রশ্ন আমরা আর কত জাতিরজনকের নামে, মুক্তিযুদ্ধের নামে, স্বাধীনতার নামে নৌকা প্রতীকের নামে কাজী জাফর উল্লাহ সাহেবদের মত নবাবী মানদাতা আমলের পুরাতন কাসন্দ কাধে নিয়ে হাটবো?
শেখ হাসিনা তরুনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিশ্বাসী। আগামী প্রজন্ম মহান স্বাধীনতার ধারক ও বাহক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বিশেষ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির পারিবারিক বন্ধনকে আরো শক্তিশালী করে আওয়ামী লীগের লাল সবুজের ৪ তারকা খচিত পতাকা তুলে দিচ্ছেন। তাঁর বয়স হয়েছে। একদিন তিনিও চলে যাবেন-জাফর উল্লাহ সাহেবদেরকেও যেতে হবে-সেদিন কে ধরবে হাল, কে তুলবে পাল? সূতরাং দেশরত্ন শেখ হাসিনার আদর সোহাগ ও স্নেহ ভালোবাসায় বেড়ে ওঠা নিক্সন চৌধূরীদের ক্ষমতায়নে আমার পূর্ণ সমর্থন রইলো। অচল পয়সা দিয়ে কিছু ক্রয় বিক্রয় করা যায় না, তেমনি অচল নেতা দিয়ে জনগণের উন্নয়ন ও মন জয় করা যায়না। এ লজিক যদি ভ্রান্ত না হয়ে থাকে তাহলে আগামী নির্বাচনে আমরা ফরিদপুর ৪ আসনে কুমিল্লা থেকে ভেসে আসা কাজী জাফর উল্লাহ সাহেবের পরিবর্তে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মহান স্বাধীনতার অন্যতম সফল সংগঠক মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদাভাইয়ের পুত্র ও হুইপ লিটন চৌধুরীর ছোট ভাই জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর নাতি মোঃ মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধূরীকে আমরা ২০১৮ এর নির্বাচনে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চাই।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
মুক্তিযোদ্ধা মোকতেল হোসেন মুক্তি
যুদ্ধ হবে আর একবার
***********************
প্রচলিত আছে যে ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের দাতা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জাফর সাহেবের আসল বাড়ী কুমিল্লা। তিনি কিভাবে ফরিদপুরের নাগরিক ও ভোটার হলেন তা'ব্যাখ্যা নাই দিলাম। বলতে চাই বিগত সুদীর্ঘ একবার ৫ বছর এবং এবারে একটানা ৯ বছর ক্ষমতা থাকা সত্বেও কাজী জাফর উল্লাহ সাহেব ফরিদপুর-৪ আসনে এক ওড়া মাটিও কাটেন নি এবং এমন কোন নজির নেই যে তিনি গোটা আসনের কোথাও দুই টাকার উন্নয়ন করেছেন। এ কথা কারো মন গড়া গল্প নয়, এটা এলাকার সকল নৌকার ভোটারদের অভিযোগ। একটি বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে জাফর উল্লাহ সাহেব জনগণকে ক'দিন দিয়েছেন। হিসেব করলেই আসল পরিসংখ্যান বেড়িয়ে আসবে।
ফলে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ভক্ত অনুরাগী নৌকার ভোটার রা একজন জাফর উল্লাহ বিকল্প প্রার্থী সন্ধানে ছুটে বেড়ায় এবং প্রার্থনা করে; হঠাত কোথা থেকে উদয় হল নিক্সন চৌধূরী, গর্জে উঠলো ভাঙ্গা নগরকান্দার চির বঞ্চিত অবহেলিত মানুষগুলো। বিকল্প নেতা না পেয়ে বিকল্প মার্কাই বেছে নিতে হল সাধারণ ভোটারদের। স্বয়ং বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজে সফর করে, মানুষকে প্রতিশ্রুতি এবং উদাত্ত আহবান জানিয়েও মানুষের মন এই খন্দকার মোস্তাক আহমেদের জেলায় জন্ম নেয়া কুমিল্লার জাফর উল্লাহর দিকে আকৃষ্ট করতে পারেন নি। যা'ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত নির্বাচনের সব চেয়ে ভরাডুবি এবং লজ্জাজনক।
মানুষের রুচিবোধ চিন্তা চেতনা ইচ্ছে আকাংখা আশা ভরসার প্রতিফলন যার মাঝে দেখতে পায়;তাকেই নির্বাচিত করে। দুরন্ত দুর্বার বঙ্গবন্ধুর নাতনি নিক্সনের মাঝে মানুষ তার কিছুটা হলেও খুজে পেয়েছে। সাথে যোগ দিয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধীশক্তি জামাত বি এন পি। ফলে নৌকার কিছু ভোট এবং বি এন পি জামাতের ভোট নিক্সনের বাক্সে পরার ফলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ধনকুবের কিপটে জাফর উল্লাহ'র ভরাডুবি হয়।
বিষয় সেটি নয়; বিষয় হচ্ছে সব জেলায়/উপজেলার বঙ্গবন্ধু নৌকা পাগল মানুষগুলো কিছু না পেয়েই ভোট দেয় এ কথা সঠিক নয়" বলে প্রমান করেছিল ভাঙ্গা সদরপুরের মানুষ। তারা তাদের নিজস্ব এলাকার গরীব কৃষক শ্রমিক জেলে তাতী কামার কুমার ধনিক বনিকের পাশে উক্ত এলাকায় জন্ম নেয়া কোন একজনের প্রত্যাশায় ছিল। তারা পেয়ে গিয়েছে। নিক্সন চৌধূরী পদ্মা সেতু টেন্ডারবাজীতে কত শ্ত কোটি টাকা মেরেছে এবং সে টাকায় ফরিদপুর-৪ আসনের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। আমি এই "অর্থ লুন্ঠন এবং উন্নয়ন" দুটো শব্দকেই অভিনন্দন জানাই। টাকা চুরি করে যদি সে টাকা জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে ব্যয় করা হয়, তাহলে বলবো সকলেরই নিক্সন চৌধূরীর মত চোর হওয়া একান্ত অপরিহার্য ।
নিক্সনকে স্থানীয় মাস্তান দিয়ে হুমকি ধমকি দৌড়ানি পিটানি ভুয়া মামলা দিয়ে নেতা কর্মীদের হয়রানি ইত্যাদি করেও কাজী জাফর উল্লাহ সাহেব নিক্সন চৌধূরীর কিচ্ছু করত পারেন নি বরং নিক্সনের পিছনে টাকার জন্য নয়-উন্নয়ন এবং এই টগবগে যুবকের সাথে হাত মেলাতে মন প্রান খুলে নিজেদের সমস্যাদির কথা বলতে সারাক্ষন কাছে পায়; এটাই জনগণের সারা জীবনের চাহিদা ছিল-যেটা বয়োবৃদ্ধ ধনকুবের কিপটা অলস প্রেসিডিয়াম সদস্য জাফর উল্লাহ সাহেবের মধ্যে আদৌ তিল পরিমান পরিলক্ষিত হয়নি।
গত নির্বাচনে নিক্সন চৌধূরীর নিকট ভরাডুবির পর ইদানিং জাফর উল্লাহ সাহেব গ্রামে গ্রামে হাটে চেষ্টা করছেন, কিন্তু নিক্সন চৌধূরীর মত মন মানসিকতা ও দৈহিক স্ববলতার অভাবে নিক্সনের ১০ ভাগ অভিনয়েও তিনি ডাউব্বা মেরেছেন।
এখানে আওয়ামী লীগ বা নৌকার বিরোধীতার প্রশ্ন নয়; এখানে প্রশ্ন আমরা আর কত জাতিরজনকের নামে, মুক্তিযুদ্ধের নামে, স্বাধীনতার নামে নৌকা প্রতীকের নামে কাজী জাফর উল্লাহ সাহেবদের মত নবাবী মানদাতা আমলের পুরাতন কাসন্দ কাধে নিয়ে হাটবো?
শেখ হাসিনা তরুনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিশ্বাসী। আগামী প্রজন্ম মহান স্বাধীনতার ধারক ও বাহক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বিশেষ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির পারিবারিক বন্ধনকে আরো শক্তিশালী করে আওয়ামী লীগের লাল সবুজের ৪ তারকা খচিত পতাকা তুলে দিচ্ছেন। তাঁর বয়স হয়েছে। একদিন তিনিও চলে যাবেন-জাফর উল্লাহ সাহেবদেরকেও যেতে হবে-সেদিন কে ধরবে হাল, কে তুলবে পাল? সূতরাং দেশরত্ন শেখ হাসিনার আদর সোহাগ ও স্নেহ ভালোবাসায় বেড়ে ওঠা নিক্সন চৌধূরীদের ক্ষমতায়নে আমার পূর্ণ সমর্থন রইলো। অচল পয়সা দিয়ে কিছু ক্রয় বিক্রয় করা যায় না, তেমনি অচল নেতা দিয়ে জনগণের উন্নয়ন ও মন জয় করা যায়না। এ লজিক যদি ভ্রান্ত না হয়ে থাকে তাহলে আগামী নির্বাচনে আমরা ফরিদপুর ৪ আসনে কুমিল্লা থেকে ভেসে আসা কাজী জাফর উল্লাহ সাহেবের পরিবর্তে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মহান স্বাধীনতার অন্যতম সফল সংগঠক মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদাভাইয়ের পুত্র ও হুইপ লিটন চৌধুরীর ছোট ভাই জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর নাতি মোঃ মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধূরীকে আমরা ২০১৮ এর নির্বাচনে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চাই।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
মুক্তিযোদ্ধা মোকতেল হোসেন মুক্তি